লা-লিগার প্রথম শিরোপা এবং বার্সেলোনার উত্থান
২০১৫ মে ১৮ ১৩:২৬:২৬
লা-লিগার প্রথম শিরোপা এবং বার্সেলোনার উত্থান
জোয়ান গাম্পার নেতৃত্বে সুইস, ইংরেজ ও কাতালান কতিপয় ফুটবলারের পরিশ্রমে ১৮৯৯ সালে গড়ে ওঠে
একটি কাতালান ক্লাব, যা এক সময় হয়ে ওঠে কাতালানদের ঐতিহ্য ও গৌরবে ক্লাব। এই কারণেই তাঁদের মটো ধরা হয়েছে ‘একটি ক্লাবের চেয়েও বেশিকিছু’। আর এই ক্লাবটির নাম রাখা হয় বার্সালোনা আবার অনেকে বার্সাও বলে থাকেন। ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রথম জয় পেতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হয়। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি। বার্সার প্রথম লিগ শিরোপা জয় রূপকথাকেও হার মানায়, ছাড়িয়ে যাবে আপনার দূর অতীত কল্পনাকেও। ১৯২৯ সালেই ১০দল নিয়ে স্প্যানিশ প্রথম বিভাগ ফুটবল শুরু হয়,যার বর্তমান নাম লা লিগা। প্রথম আয়োজনে অংশ নেয়া ১০টি দলগুলো হল বার্সেলোনা, এথলেটিকো বিলবাও,রিয়াল মাদ্রিদ, রিয়াল সোসিয়েদাদ, এথলেটিকো মাদ্রিদ,রেসিং সান্তান্দার,এস্পানিওল, আরেনাস ক্লাব,ক্লাব ডি ইউরোপা, রিয়াল ইউনিওন। প্রথম ম্যাচে রেসিং সান্তান্দারের মুখোমুখি হয় বার্সা। পারেরার পা থেকে আসা দুই গোলে ২-০ তে জয় পায়। পরের ম্যাচে লা লিগায় প্রথম ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয় বার্সা-রিয়াল।। প্রথম হাফে রিয়াল ২ গোলে এগিয়ে যায় গেলে ১ টা গোল পরিশোধ করতে সক্ষম হলেও বার্সা ম্যাচটা হেরে যায়। পরের ম্যাচ টাও রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে ৩-০ গোলের পরাজয়। মৌসুমের লা-লিগার চতুর্থ ম্যাচে অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির আরেনাস বার্সাকে ২-২ গোলে ড্র ও পঞ্চম ম্যাচে মাদ্রিদ ক্লাব এথলেটিকোর মুখোমুখি হয় বার্সা। রীতিমত ছেলেখেলা করে বার্সাকে নিয়ে। ৪-১গোলের সহজ জয় পায় এথলেটিকো মাদ্রিদ। এই পরাজয়ে দারুন সমালচনার মুখোমুখি হতে হয় বার্সাকে। এরপর মিডিয়াতে বার্সাকে নিয়ে নানান গুঞ্জনকে জবাব দিয়ে বার্সা দুর্বল ক্লাব ডি ইউরোপার মুখোমুখি হয়ে ৫-২ গোলের দাপুটে জয় পায়। এই মাচের পরও ম্যানেজার রোমা ফ্রন্সকে বদলে ইতালিয়ান ক্লাব ব্রেসিয়ার কোচ জেমস বেলামি কে কোচ করে আনা হয়। লা-লিগা ১৯২৯ এর ৬ ম্যাচ শেষে দেখা গেল রিয়াল মাদ্রিদ ৫ জয় দিয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এবং বার্সালোনা ২ জয় ও একটি ড্র নিয়ে অবস্থান আটে। কোচ বদলের পরও বার্সার সেই বাজে পারফরমেন্স অব্যাহত রেখে শক্তিশালী এথলেটিকো বিলবাওয়ের মুখোমুখি হয়ে ৫-১ গোলের লজ্জাজনক হার দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কাতালানদের। এবার শুধু ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, এস্পানিওলের মাঠে সাস্ত্রের এক মাত্র গোলে বার্সার ১-০ তে জয় দিয়ে কোচ হিসেবে ব্যালামি প্রথম জয়ের স্বাদ পান।পরের ম্যাচে রিয়াল ইউনিওনকে ২-১ গোলের জয় দিয়ে টানা ২য় জয় ও প্রথম এওয়ে জয়ের স্বাদ পায় বার্সা। লিগের প্রথম হাফ শেষে রিয়াল ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বরাবরের মত শীর্ষস্থান ধরে রাখে এবং বার্সা ৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ট স্থানে উঠে আসে। ১৯২৯ লা-লিগার নিজেদের দশম ম্যাচে ৫-১ গোলের রেসিং সান্তান্দারের বিপক্ষে এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে সারা পৃথিবীকে কাতালানদের অস্তিত্ব জানান দেন।এবার পালা তৎকালীন এবং বর্তমান স্পোর্টস জায়ান্ট ক্লাব রিয়ালকে রুখে দেওয়া।প্রথম পর্বে হারার পরে ইনজুরি আক্রান্ত রিয়ালকে একদম শেষ মূহুর্তে আবার সেই সাস্ত্রের গোলেই ১-০ গোলের জয় দিয়ে প্রতিশোধ নেয় বার্সালোনা। রিয়াল সোসিয়েদাদের ১-০ গোলে হার আর আরেনাস -বার্সা ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় অপ্রত্যাশিত ভাবে বার্সা শিরোপার দৌড়ে ফিরে আসে ফুটবল ক্লাব বার্সালোনা। এথলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে হারিয়ে প্রথম পর্বের ৪-১ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধ নেয় বার্সা এবং বার্সা –ক্লাব ডি ইউরোপা ম্যাচটি গোল শূন্যভাবে অমীমাংসিত থেকে যায়। ১৫ ম্যাচ শেষে রিয়াল ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এবং এক ম্যাচ কম খেলে বার্সার অবস্থান দাড়ায় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। ৩-০ গোলে এথলেটিকো বিলবাওকে হারানোর পরের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র হয়, রিয়াল অন্যদিকে পর পর দুটি জয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে রিয়ালের পয়েন্ট দাড়ায় ২৩, আর বার্সার ২১। একদিকে রিয়াল ইউনিওনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় জয় অন্যদিকে রিয়াল হেরে বসে, গোল গড়ে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও ১৮ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট ২৩ এবং এক ম্যাচ কম খেলেও বার্সার পয়েন্ট ২৩। আরেনাস -বার্সা ম্যাচটি পরিত্যক্ত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হলে বার্সার প্রয়োজন ছিলো জয় কিংবা ড্র । প্রথম হাফে গোল শূণ্য থাকলেও দ্বিতীয় হাফে পারেরার ২ গোলে বার্সাকে জয় দিয়ে প্রথম বারের মত লা-লিগা শিরোপা আসে নিজেদের ঘরে, রচিত হয় এক কাতালান রূপকথা। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি এই কাতালানদের। একের পর এক এসেছে ২৩ বারের মত এই শিরোপা। আর রানার্স-আপ হয়েছে ২৪ বার। - See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/43284/index.html#sthash.oBMH7mUc.dpuf
একটি কাতালান ক্লাব, যা এক সময় হয়ে ওঠে কাতালানদের ঐতিহ্য ও গৌরবে ক্লাব। এই কারণেই তাঁদের মটো ধরা হয়েছে ‘একটি ক্লাবের চেয়েও বেশিকিছু’। আর এই ক্লাবটির নাম রাখা হয় বার্সালোনা আবার অনেকে বার্সাও বলে থাকেন। ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রথম জয় পেতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হয়। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি। বার্সার প্রথম লিগ শিরোপা জয় রূপকথাকেও হার মানায়, ছাড়িয়ে যাবে আপনার দূর অতীত কল্পনাকেও। ১৯২৯ সালেই ১০দল নিয়ে স্প্যানিশ প্রথম বিভাগ ফুটবল শুরু হয়,যার বর্তমান নাম লা লিগা। প্রথম আয়োজনে অংশ নেয়া ১০টি দলগুলো হল বার্সেলোনা, এথলেটিকো বিলবাও,রিয়াল মাদ্রিদ, রিয়াল সোসিয়েদাদ, এথলেটিকো মাদ্রিদ,রেসিং সান্তান্দার,এস্পানিওল, আরেনাস ক্লাব,ক্লাব ডি ইউরোপা, রিয়াল ইউনিওন। প্রথম ম্যাচে রেসিং সান্তান্দারের মুখোমুখি হয় বার্সা। পারেরার পা থেকে আসা দুই গোলে ২-০ তে জয় পায়। পরের ম্যাচে লা লিগায় প্রথম ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয় বার্সা-রিয়াল।। প্রথম হাফে রিয়াল ২ গোলে এগিয়ে যায় গেলে ১ টা গোল পরিশোধ করতে সক্ষম হলেও বার্সা ম্যাচটা হেরে যায়। পরের ম্যাচ টাও রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে ৩-০ গোলের পরাজয়। মৌসুমের লা-লিগার চতুর্থ ম্যাচে অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির আরেনাস বার্সাকে ২-২ গোলে ড্র ও পঞ্চম ম্যাচে মাদ্রিদ ক্লাব এথলেটিকোর মুখোমুখি হয় বার্সা। রীতিমত ছেলেখেলা করে বার্সাকে নিয়ে। ৪-১গোলের সহজ জয় পায় এথলেটিকো মাদ্রিদ। এই পরাজয়ে দারুন সমালচনার মুখোমুখি হতে হয় বার্সাকে। এরপর মিডিয়াতে বার্সাকে নিয়ে নানান গুঞ্জনকে জবাব দিয়ে বার্সা দুর্বল ক্লাব ডি ইউরোপার মুখোমুখি হয়ে ৫-২ গোলের দাপুটে জয় পায়। এই মাচের পরও ম্যানেজার রোমা ফ্রন্সকে বদলে ইতালিয়ান ক্লাব ব্রেসিয়ার কোচ জেমস বেলামি কে কোচ করে আনা হয়। লা-লিগা ১৯২৯ এর ৬ ম্যাচ শেষে দেখা গেল রিয়াল মাদ্রিদ ৫ জয় দিয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এবং বার্সালোনা ২ জয় ও একটি ড্র নিয়ে অবস্থান আটে। কোচ বদলের পরও বার্সার সেই বাজে পারফরমেন্স অব্যাহত রেখে শক্তিশালী এথলেটিকো বিলবাওয়ের মুখোমুখি হয়ে ৫-১ গোলের লজ্জাজনক হার দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কাতালানদের। এবার শুধু ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, এস্পানিওলের মাঠে সাস্ত্রের এক মাত্র গোলে বার্সার ১-০ তে জয় দিয়ে কোচ হিসেবে ব্যালামি প্রথম জয়ের স্বাদ পান।পরের ম্যাচে রিয়াল ইউনিওনকে ২-১ গোলের জয় দিয়ে টানা ২য় জয় ও প্রথম এওয়ে জয়ের স্বাদ পায় বার্সা। লিগের প্রথম হাফ শেষে রিয়াল ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বরাবরের মত শীর্ষস্থান ধরে রাখে এবং বার্সা ৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ট স্থানে উঠে আসে। ১৯২৯ লা-লিগার নিজেদের দশম ম্যাচে ৫-১ গোলের রেসিং সান্তান্দারের বিপক্ষে এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে সারা পৃথিবীকে কাতালানদের অস্তিত্ব জানান দেন।এবার পালা তৎকালীন এবং বর্তমান স্পোর্টস জায়ান্ট ক্লাব রিয়ালকে রুখে দেওয়া।প্রথম পর্বে হারার পরে ইনজুরি আক্রান্ত রিয়ালকে একদম শেষ মূহুর্তে আবার সেই সাস্ত্রের গোলেই ১-০ গোলের জয় দিয়ে প্রতিশোধ নেয় বার্সালোনা। রিয়াল সোসিয়েদাদের ১-০ গোলে হার আর আরেনাস -বার্সা ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় অপ্রত্যাশিত ভাবে বার্সা শিরোপার দৌড়ে ফিরে আসে ফুটবল ক্লাব বার্সালোনা। এথলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে হারিয়ে প্রথম পর্বের ৪-১ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধ নেয় বার্সা এবং বার্সা –ক্লাব ডি ইউরোপা ম্যাচটি গোল শূন্যভাবে অমীমাংসিত থেকে যায়। ১৫ ম্যাচ শেষে রিয়াল ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এবং এক ম্যাচ কম খেলে বার্সার অবস্থান দাড়ায় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। ৩-০ গোলে এথলেটিকো বিলবাওকে হারানোর পরের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র হয়, রিয়াল অন্যদিকে পর পর দুটি জয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে রিয়ালের পয়েন্ট দাড়ায় ২৩, আর বার্সার ২১। একদিকে রিয়াল ইউনিওনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় জয় অন্যদিকে রিয়াল হেরে বসে, গোল গড়ে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও ১৮ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট ২৩ এবং এক ম্যাচ কম খেলেও বার্সার পয়েন্ট ২৩। আরেনাস -বার্সা ম্যাচটি পরিত্যক্ত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হলে বার্সার প্রয়োজন ছিলো জয় কিংবা ড্র । প্রথম হাফে গোল শূণ্য থাকলেও দ্বিতীয় হাফে পারেরার ২ গোলে বার্সাকে জয় দিয়ে প্রথম বারের মত লা-লিগা শিরোপা আসে নিজেদের ঘরে, রচিত হয় এক কাতালান রূপকথা। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি এই কাতালানদের। একের পর এক এসেছে ২৩ বারের মত এই শিরোপা। আর রানার্স-আপ হয়েছে ২৪ বার। - See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/43284/index.html#sthash.oBMH7mUc.dpuf
No comments:
Post a Comment